স্বামীকে রেখে অন্যকে বিয়ে করলে.......

               

  স্বামীকে রেখে অন্যকে বিয়ে করলে.......       
প্রশ্ন : একটি মেয়ে তার পছন্দের একটি ছেলেকে বিয়ে করতে চাচ্ছিল।
কিন্তু তার মা-বাবা অন্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন।
বিয়ের দিন তার মতামত জানতে চাইলে মেয়েটি হ্যাঁ বা না কিছুই না বলে চুপ থাকে।
তবে মনে মনে সে নারাজ ছিল।
এ অবস্থায় তার আকদ হয়ে যায়।
মেয়েটি নারাজ থাকলেও মা-বাবার কথায় স্বামীর বাড়িতে চলে যায় এবং দুই মাস তার সঙ্গে সংসার করে।
এরপর একদিন হঠাৎ সেই পালিয়ে গিয়ে পূর্বোক্ত ছেলেটির সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তার সঙ্গে ঘর-সংসার শুরু করে। এটা নিয়ে এলাকায় অনেক তোলপাড় চলছে।
মেয়েটির দাবি, সেই প্রথম বিয়েতে রাজি ছিল না।
তাই তা সহিহ হয়নি।
জানার বিষয় হলো, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মেয়েটির কথা কি ঠিক? তার প্রথম বিয়ে সহিহ হয়েছে কি না?
এবং সে যে দ্বিতীয় বিয়ে করল এর হুকুম কি?
,,,,,,,,,
,,,,,,
,,,,
,,,,
,,,
,,
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত প্রথম বিয়েটি সহিহ হয়েছে।
কুমারী মেয়ের জন্য বিয়ের (ইযন) অনুমতি চাওয়ার পর
চুপ থাকাই সম্মতির আলামত।
এক্ষেত্রে বিয়ে সম্পর্কে মতামত জানতে চাওয়ার পর প্রত্যাখান না করে চুপ থেকে সম্মতির প্রমাণ দিয়েছে।
বিয়ে সহিহ হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।
এক্ষেত্রে মনে মনে নারাজ থাকা বিবাহ সহীহ হওয়ার
জন্য প্রতিবন্ধক নয়।
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কুমারী থেকে তার (বিয়ের) ব্যাপারে অনুমতি নিতে হবে।
আর তার নিরব থাকাই তার সম্মতি। (সহিহ মুসলিম : ১৪২১)
এ বিয়েতে সে যদি বাস্তবেই সম্মত না থাকত তাহলে তার উচিত ছিল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া।
সে যেহেতু তা করেনি, বরং চুপ থেকেছে তাই প্রথম বিয়ে হয়ে সহিহ হয়ে গেছে।
অতএব প্রথম বিয়ে থাকা অবস্থায় তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়নি। এখন দ্বিতীয় ছেলের সঙ্গে মেয়েটির ঘর-সংসার করা সম্পূর্ণ হারাম ও ব্যভিচারের শামিল হচ্ছে।
বিষয়টির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে মেয়েটির এই ছেলেকে ছেড়ে তার প্রকৃত স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়া এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা ইস্তেগফার করা কর্তব্য।
আর যদি তার স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার না করতে চায় তবে তালাকের মাধ্যমে বিচ্ছেদ হতে হবে।
তারা ছাড়া এমনি আলাদা থাকলে বিবাহ ভেঙ্গে যাবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ২/৫০৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ২/২৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩৩৫; ফাতাওয়া সিরাজিয়া পৃ. ৩৭)।