About

                 نحمده ونصلي علی رسو له الكريم٬ 
                              :  اَما بعد 
                  فاَعوذ باللّٰه من الشّيطان الرجيم٬
                        بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
     يَااَيُّهَا الَّذِيْنَ اَمَنُوا اتَّقُوا للّٰهَ وَلْتَنْظُرْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ لِغَدٍ
               وَاتَّقُوا اللّٰهَ اِنَّ اللّٰهَ خَبِيْرٌ بِمَا تَعْمَلُوْنَ
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন-
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিৎ, আগামী কালের জন্য সে কি প্রেরণ করে, তা চিন্তা করা।
আল্লাহ তা'আলাকে ভয় করতে থাক।
তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা খবর রাখেন।

হাদীস শরীফে রাসুলে কারীম -বলেন
               تَرَكْتُ فِيْكُمْ اَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوْا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَاـ         
                            كِتَابَ اللّٰهِ وَسُنَّةَ رَسُولِهِ
 অর্থঃ আমি তোমাদের মাঝে কোরআন ও সুন্নাহ- এই দুটি জিনিস রেখে গেলাম, যত দিন তা আঁকড়ে ধরে থাকবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না।


যিনি আমাদের মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন, সকল প্রশংসা সেই মহান রবের।
কিয়ামতের মতো কঠিন সময়েও যিনি আমাদের কথা ভুলে যাবেন না, দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সেই নবী -এর ওপর। 

একসময় মুসলিমরা ছিল সবার ওপরে।
ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, যে সময়ে আমরা আল্লাহর কিতাব ও রাসূল -এর সুন্নাহ আঁকড়ে ধরেছিলাম, সে সময়ে আল্লাহ তাআলা আমাদের সম্মানিত করেছেন।
আর যখন আমরা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুতে সম্মান খুঁজেছি, রাসুল -এর সুন্নাহ'র চেয়ে অন্য কিছুকে শ্রেষ্ঠ ভেবেছি, তখন পদে পদে লাঞ্চিত হয়েছি।
সাহাবীদের জীবনী তাকালে দেখা যাবে, তাঁরা সুন্নাহ মেনে চলার ব্যাপারে ছিলেন খুবই সতর্ক।
যতভাবে রাসুল -এর সুন্নাহকে মেনে চলা যায়, ততভাবেই তাঁরা মানার চেষ্টা করেছেন।
আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু একদিন রাসুল -কে তরকারির মধ্যে লাউয়ের টুকরোগুলো বেছে বেছে খেতে দেখেছিলেন।
ব্যাস, এতটুকু দেখেই তিনি নিজের জন্য লাউ পছন্দ করে নিয়েছিলেন।
অথচ না কখনো রাসূল তাঁকে লাউ খাবার নির্দেশ দিয়েছেন, না এর কোন ফযীলত বর্ণনা করেছেন।
ভ্রমণের সময় আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী স্থানে যেতেন এবং দুপুরবেলা গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতেন।
কারণ, তিনি রাসূল -কে একই জায়গায় একইভাবে বিশ্রাম নিতে দেখেছে।
একদিন ভ্রমণের সময় রাসূল প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে এক জায়গায় থেমেছিলেন।
সফরে বের হলে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ও সে জায়গায় থেমে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতেন।
কুররা ইবনে ইয়াস যখন রাসুল -এর হাতে বাইয়াত নিতে এসেছিলেন, তখন তিনি লক্ষ্য করলেন রাসূল -এর জামার বোতাম খোলা রয়েছে।
এ জন্য শীতে কিংবা গরমে কখনো তিনি জামার বোতাম লাগাতেন না।
আমরা হয়তো এই উদাহরণগুলো কট্ররতা ভাবতে  পারি।
তবে তাঁরা এগুলো করতেন রাসুল -এর প্রতি ভালোবাসা থেকে।
তাই তো দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহ তাআলা তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট, তাঁরাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।
নিঃসন্দেহে পৃথিবীতে যত মানুষ এসেছেন, তাদের মধ্যে রাসুল ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
আর তাঁর দৃষ্টান্তই সর্বশ্রেষ্ঠ।
আমরা যদি তাঁকে ভালবেসে সে সুন্নাহগুলোর অনুসরণ করি, তবে আল্লাহ তাআলাও আমাদের ভালোবাসবেন-

                 -قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللّٰهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُحْبِبْكُمُ اللّٰهُ 
                        وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللّٰهُ غَفُوْرُرَّحِمٌ
"বলো, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো।
আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।
আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল। পরম দয়ালু।"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ