শবে বরাত আমলের রাত

                        

 শবে বরাত আমলের রাত
যদিও এ রাতে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়নি তথাপিও এ রাতের বরকতের ব্যাপারে কোনরূপ সন্দেহের অবকাশ নেই। 
পবিত্র শবে বরাতের বিশেষ ফয়েজ ও বরকতের কথা উল্লেখ রয়েছে। 
এই বরকত হাসিল হয় আমলের মাধ্যমে। 
তাই আজ আমলের রাত, ইবাদতের রাত। ওয়ায-নছীহতের রাত নয়। 
তাই আমি আজ দীর্ঘ আলোচনা করতে চাই না। তাছাড়া এ সম্পর্কে যা বলার তা জুমআর বয়ানে মোটামুটি বলা হয়েছে। সুতরাং অনেক সময় একই কথা বারবার বলা এবং শোনা উভয়ই অরুচিকর মনে হয়।   

                      শবে বরাতে বর্জনীয় কাজ
অতিব পরিতাপের বিষয় যে, আমরা জযবার কারণে অনেক সময় উপকারের নিয়তে অপকার করে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হই। 
অনেক সময় শরীয়ত ও সুন্নতের সীমারেখা অতিক্রম করে বসি। 
শবে বরাতের বেলায়ও তা প্রত্যক্ষ করা যায়। যথা-

(১)  শবে বরাতের রাতে মসজিদে মসজিদে, মহল্লায় মহল্লায় ওয়াজ-নছীহতের নামে অনুষ্ঠান করা হয় এবং তাতে অসংখ্য লোকের সমাগম হয়।
ওয়াজ করা ও শোনার  কারণে সময় শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে বক্তা ও শ্রোতা উভয়েই ইবাদত-রিয়াজত, নামায ও তেলাওয়াত থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।

(২) বাসা-বাড়িতে মহিলাগণ শবে বরাতের হালুয়া-রুটি তৈরী ও বন্টনের মাধ্যমে সময় বিনষ্ট করে, ফলে তারাও আমল করা হতে বঞ্চিত হয়।

(৩) আর সর্বত্রই আলোকশয্যা, আতশবাজী, বোমা, পটকা ফোটানো তো এখন শবে বরাতের আলামতে পরিণত হয়েছে।
এসবের কারণে বর্তমানে শান্তিমত ইবাদত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এতে অর্থ ও সময় বিনষ্টের গোনাহ তো আছেই।

(৪) বাসা-বাড়ির মুরুব্বিগণ বাদ এশা থেকে ফজর পর্যন্ত মসজিদে শবে বরাত উদযাপন করে আর অন্য দিকে পরিবারের লোকেরা সিনেমা, ভিসিআর, নাচ-গান বাদ্য-যন্ত্র ও গোনাহে কবিরায় লিপ্ত থাকে।

(৫) রেডিও, টেলিভিশন ও সিনেমা হলগুলোতে সেদিন অধিক আকর্ষণীয় প্রোগ্রাম করে শবে বরাতের পবিত্র দিনে যুবক-যুবতীদেরকে বে-দ্বীনী কাজে মাতাল করে তোলে।
ফলে বরকতের স্থলে এই রাত আমাদের জন্য আযাবের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আল্লাহপাক মুসলমানদেরকে ক্ষমা করুন এবং ঈমানী নূরে নুরাম্বিত করুন। (আমীন)                                       

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ