ঈদের নাম শুনলেই মনে পুলক জাগে।
ঈদ এলে চারপাশে খুশির ঢেউ খেলে যায়।
আনন্দের রোল পড়ে।
হাসি-খুশি আর আনন্দ-বিনোদনে উদ্বেলিত হয় সবার প্রাণ। ছোট-বড়, ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা, উঁচু-নিচু সবার মাঝেই এ আনন্দের শিহরণ জাগে।
তবে ঈদ শুধু আনন্দ নিয়েই আসে না।
আসে অনেক শিক্ষা নিয়ে, দীক্ষা নিয়ে।
আর তখনই ঈদের আনন্দ হয় অর্থবহ।
ঈদ এসে বলে যায়, মানুষ মানুষের জন্য।
তোমরা ভুলে যাও সকল ভেদাভেদ ও বৈষম্য।
ঝেড়ে ফেলো হিংসা-বিদ্বেষ, মুছে ফেলো অতীতের সব দুঃখ ও গ্লানি।
বলীয়ান হও সুন্দর ভবিষ্যত নির্মাণের দৃঢ় সংকল্পে।
এখানেই কি শেষ? বছর ঘুরে আমাদের দুয়ারে ঈদ আসে অসহায় অভাবীর মুখে অন্ন তুলে দিতে।
বিবস্ত্র-মলিন বদনে হাসি ফুটাতে।
সর্বোপরি এক আদমের সন্তান সকল মানুষ আপন ভাইয়ের মতো বেঁচে থাকার শিক্ষা দিতে।
এ ঈদ বছরে দু'বার আসে।
শাওয়াল মাসের প্রথম চাঁদ নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর।
যিলহজ্ব মাসের দশম তারিখ হয় ঈদুল আযহা।
নামের মাঝেই রয়েছে দু'টি ঈদের পরিচয়।
ঈদুল ফিতর মানে দীর্ঘ সিয়াম শেষের আনন্দ আর ঈদুল আযহা মানে আল্লাহর রাহে কোরবানী করার খুশি।
দু'টি আনন্দ ইবাদতের রূপ নেয়, যদি তা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শে পালিত হয়, উদযাপিত হয়।
অন্যথায় তা গুনাহর কারণ হতে পারে।
তাই আল্লাহর দেয়া এ আনন্দের দিনে আমরা আল্লাহর কথা মেনে চলবো।
অপর ভাইয়ের খবর নিবো।
তবে ঈদের প্রকৃত আনন্দের স্বাদ আমরা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবো।
সার্থক হবে আমাদের সকল আনন্দ-আয়োজন।
আরো নিবিড়ভাবে উপভোগ্য হবে নির্মল বিনোদন।
0 মন্তব্যসমূহ