বাদলে যাবে আগামীর যাতায়াত ব্যবস্থা

           

              বাদলে যাবে আগামীর যাতায়াত ব্যবস্থা
এখন রাস্তায় যেসব যানবাহন চলাচল করে সেগুলোর প্রযুক্তিগত উন্নয়নে চলছে বিস্তর গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেই সঙ্গে রাস্তায় বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যাও। ২০১০ সালে বিশ্বে যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১০০ কোটি। ২০৩০ সালে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২০০ কোটিতে। একই সঙ্গে আমাদের চলাচল করার মাধ্যমও বদলে যাবে। যেবন ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতিটি গাড়িই হবে স্বচালি। সেইসঙ্গে রাইড শেয়ারিং সেবাও বহুলভাবে ব্যবহার করা হবে। এতে নিজস্ব গাড়ি থাকার প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে। তাই একদিকে যেমন কমবে বায়ুদূষণ তেমনি কমবে দুর্ঘটনার সংখ্যা। 
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও ইসরাইলে চালকবিহীন বাস রাস্তায় নামিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।       
 তবে ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম বোশের প্রকৌশলী অরুণ শ্রীনিবাসনের মতে, স্বচালিত কার হোক বা বাস, আগামী ১০ বছরের আগে রাস্তায় সগুলো চলাচলের উপযোগী হবে না। কারণ একটি গাড়ি পথ চলার  সময়, লিডার,
রাডার, ক্যামেরা ইত্যাদি দিয়ে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করবে। এগুলোর জন্য খরচের পরিমাণও অনেক বেড়ে যাবে। 
এছাড়াও, আবহাওয়া খারাপ থাকলে আদৌ নিরাপদভাবে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চলতে পারবে কিনা তা নিয়ে জথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সবচেয়ে নিরাপদেে চলবে ভালো ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো। তবে দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার কে নিবে বা গাড়ির যাবতীয় তথ্য কার কাছে থাকবে তা নিয়েও অচিরেই নীতিমালা তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন অরুণ। 
এছাড়াও, উন্নত দেশগুলোতে ইলেকট্রিক
 স্কুটার ও ই-বাইকের চাহিদা বাড়বে। এর ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পেলে রাস্তায় বড় বড় যানবাহনের সংখ্যা কমে যাবে। দূষণের মাত্রাও কমবে। প্যারিস ও সানফ্রান্সসিসকোতে ইলেকট্রিক স্কুটার বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। স্কুটার ব্যবহার শেষে অ্যাপ দিয়েই তা লক করা যাই। 
কতক্ষণ সময় ব্যবহা করা হলো তার ওপর ভিত্তি করে অর্থও পরিশোধ করা যায়। এসব সুবিধার কারণে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে স্বল্পগতির ইলেকট্রিক স্কুটার ও ই-বাইক। 
 এছাড়াও পরিবহন সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে চালু হয়েছে বিশেষ অ্যাপ 'মুভেল'। 
সহজে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য হেঁটে, বাসে, ট্যাক্সিতে নাকি বাইসাইকেলে যাওয়া ঠিক হবে তা জানিয়ে দেয় অ্যাপটি। জার্মান প্রতিষ্ঠান মুভেলের চিফ এক্সিকিউটিভ ড্যানিয়েল গার্ড টম মার্কোটেন জানিয়েছেন, অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া প্রতিটি টিকিট থেকে কমিশন কেটে রাখা হয়। এতে সার্চ, বুক ও পে করার সুবিধা একত্রে পাওয়া যায়। 
তিনি জানান, অ্যাপটির পুরোপুরি ব্যবহার তখনই সম্ভব হবে যখন পরিবহন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মধ্যে সমন্বয় ঘটাবে ও রিয়েল টাইম ডেটা শেয়ার করবে। 
(বিদেশি নিউজ অবলম্বনে)।                                                                            

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ